দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে রক্তপাতের ঘটনা বেড়েই চলছে। ভোটের প্রচারণা চালাতে গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু (৫০) নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনার জেরে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বল্টু খুন হন। এর পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে নদীতে অর্ধপোতা অবস্থায় একই ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী বাবুর মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায় ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন ও তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা বল্টু পৌর এলাকার কবিরপুরের ভূইমালী পাড়াতে প্রচারণা চালাতে যার। এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জাবি মার্কার আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হামলার পর গুরুতর আহত বল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর একই ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মরদেহ পাওয়া যায়। যার সমর্থকদের বিরুদ্ধে বল্টুর ওপর হামলার অভিযোগ ছিল। উপজেলার দেবতলা নদীর থেকে অর্ধপোতা অবস্থায় বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় শৈলকুপা পৌরসভার ভোটারদের মাঝে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। শহরসহ পৌর এলাকার সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকিং চলছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো এই কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যু সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি