দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কাউন্সিলর প্রার্থীর মার্কা পানির বোতল। তার লোকজন ভোটারদের দিচ্ছিলের নারকেল তেলের বোতল। কয়েকদিন এভাবে দেয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন ধরে ফেলেন। তেলের বড় একটি চালানসহ ধরিয়ে দেন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। এঘটনা কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে। এই পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।
১৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম রবি এবারো প্রার্থী হয়েছেন। তার মার্কা পানির বোতল। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পাখির মার্কা উটপাখি।
রবিবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে বারখাদা পুর্বপাড়া এলাকায় পানির বোতলের সমর্থক রিয়াজুল ইসলামকে ভোটারদের মধ্যে তেলের বোতল বিলি করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। কার্টুন ধরে ২৪০ মিলিলিটারের প্যারাসুট নারকেল তেলের ১শ ৭৪ বোতল ছিল তার কাছে। এসময় খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসেন কুষ্টিয়া সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিফাত উদ্দিন এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সবুজ হাসান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পৌর নির্বাচন আচরণ বিধি ২০১৫-এর ১৭ এর ক ধারা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তারা।
আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত উদ্দিন ও সবুজ হাসান জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমের দেয়া খবর অনুযায়ী হাতে নাতে ধরা হয় রিয়াজুল ইসলামকে। তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তেলের বোতলসহ ধরা পড়া রিয়াজুল জানান, এসব তেল এখনি বিলি করার জন্য না, আগে কিনে রাখা হচ্ছে। ভোটে জেতার পর ভোটারদের দেয়া হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পাখি অভিযোগ করেন, রবিউল ইসলাম রবি তার পানির বোতল মার্কার সাথে মিল রেখে এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে সরিষা তেল, সয়াবিন তেল ও নারকেল তেলের বোতল বিতরণ করে আসছে। এভাবে সে ভোট কিনছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি জানান, তেলের বোতলতো অবৈধ না। ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। বিস্তারিত জেনে পরে কথা বলবো- বলেন তিনি।
আরো সংবাদ...
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি