দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
বিয়ের দুই মাস ১০ দিনের মাথায় পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভেমরুল্লাহ গ্রামে এক নারী। ইতোমধ্যে তাকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।
তবে প্রকৃত ঘটনাও উঠে এসেছে। পুলিশ বলছে অবিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পারিবারিক ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লাহ গ্রামের পুরাতন মসজিদ পাড়ার মোস্তাকিমের সঙ্গে ২ মাস ১০ দিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার ওই নারীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা কোনো ভাবেই বুঝতে পারেননি যে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
শনিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ওই নারীর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই বিব্রত হলেও প্রকৃত ঘটনা নিজেই জানিয়েছেন ঐ নারী। তিনি জানান কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার প্রতিবেশী আশিক (২০) নামের একজনের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও দেখানোর নাম করে আশিক তাকে তার ঘরে যেতে বলে। নারীটি সেখানে গেলে আশিক আমাকে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
মেয়েটি যখন তার অন্তসত্তা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারকে জানালে পরিবার দ্রæত তার বিয়ের ব্যবস্থা করে।
নারীটি তার পুত্র সন্তানের স্বীকৃতি চান।’
রোববার দুপুরে তার স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন।
মোস্তাকিম এ বিষয়ে বলেন, ‘বিয়ের পর আমার স্ত্রী বিভিন্নভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যেত। তাই আমার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।’ রোববার দুপুরে ওই নারীকে তালাক দেন স্বামী মোস্তাকিম।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর খোকন বলেন বিষয়টি নিয়ে এখন কি করা যায় সেটা ভাবা হচ্ছে। তিনি জানান মেয়েটির পরিবার কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা দেখতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি