দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
বাঘা যতিনের আবক্ষ রক্ষায় অবহেলার অভিযোগে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কলেজের গর্ভণিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, কলেজের অধ্যক্ষ হারুন উর রশীদ অসকারী, নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমান ও কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও কলেজের গর্ভণিং বডির সদস্য আনিসুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, আবক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ অজ্ঞাত পরিচয় উল্লেখে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ে করেছে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
কলেজের গর্ভণিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু ঘটনার পুরো বিষয় নিয়ে পুলিশ তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। শেষে একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়। কলেজের গর্ভণিং বডির অবহেলার বিষয়ে তিনি জানান সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
পুলিশের একটি সুত্র দাবি করেছে ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনার পর জেলায় যেখানে যেখানে এ ধরনের বা কোন ধনের ভাস্কর্য রয়েছে তার নিরাপত্তাবধানের সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা হিসেবে সিসি ক্যামেরা বসানোসহ গার্ড নিযুক্ত করতে বলা হয়। নিদের্শনার পর বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। কোথাও বসানোর কাজ চলছে। কিš‘ বাঘা যতিনের এ জন্ম¯’ানে নির্মিত ভাস্কর্য রক্ষায় কোন ব্যব¯’া নেয়া হয়নি।
যতিনের ভাস্কর্যটি রয়েছে ঐ কলেজের জমিতে এবং কলেজের মুল প্রবেশ পথের ডান পাশে।
এ অব¯’ায় পুলিশ তাদেরকে তুলে আনে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান জানান উপজেলায় ইতিমধ্যে একাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তিনি জানান যে জমিটিতে কয়া কলেজটি যদিও এখন সেখানে যতিনের নানা বা তাদের কোন উত্তরসূরীর পরিচয় মেলে না। তথাপিও এখানেই যতিন বড় হয়েছেন। কলেজের পাশেই যে পুকুরটি রয়েছে কথিত রয়েছে ঐ পুকুরেই যতির গোসল করতেন।
ইউএনও জানান ইতিমধ্যে কয়া কলেজটি যতিনের নামে নামান্তরিত করার প্রস্তবনা সরকারের নিকট বিবেচনাধীন রয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত জানান কলেজ কতৃপক্ষ যতিনের আবক্ষ রক্ষায় চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে। তারা সরকারের নির্দেশনা স্পষ্ট লংঘন করেছে।
এদিকে একটি সুত্র জানায় যতিনের প্রকৃত মাতুতালয়ের যে জায়গাটি ছিল সেখানে এখন বসবাস করছেন ঐ কলেজের নৈশ প্রহরী খলিলুর রহমান ও তার পরিবার।
কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় যতিনের অবক্ষটি ভাংচুর করা হয়। শুক্রবার সকালে বিষয়টি ধরা পড়ে। যখন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে তখন কলেজের নৈশ প্রহরী বাড়িতে ঘুমা”িছলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বলে জানান ওসি মজিবুর রহমান।
ভাস্কর্যের ডান গালে ও নাকের ওপর আঘাত করা হয়েছে এতে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
কুমারখালীর কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া জেলা যুব লীগের সাদারন সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন জানান তিনি একাধিকবার যতিনের ভাস্কর্য রক্ষায় কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানার চেষ্টা করেও কোন সদুত্তর পাননি।
কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছিলেন।
পরবর্তী সময়ে একই বছরে ভারতীয় ত্রিপুরা প্রদেশের গর্ভণর শ্রী তথাগত রায় ঐ কলেজে পরিভ্রমণ করেন এবং পূনরায় আবক্ষের দ্বার উন্মোচন করেন। তথাগত রায়ের সম্মানে আবক্ষের পাশেই একটি স্মৃতিফক করা হয়।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি