December 22, 2024, 11:50 am
গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ইসলামী বিশ্বিবদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য মুক্ত বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের ম্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সংঘটিত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র অনুমোদিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন এক বিবৃতিতে বলেন ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও চরম নিন্দনীয়। নেতৃবৃন্দ মনে করেন এ ঘটনা কোন আকস্মিক নয় ; এটি ঘটনার পরম্পরা। বঙ্গবন্ধু পরিষদ খুব শক্তভাবে মনে করে বিগত প্রশাসনের “ভাগ কর শাসন কর” নীতির কদর্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ও প্রত্যক্ষ মদদে বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কার্যরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষাকারী বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাভিত্তিক সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে যে ভূইফোঁড় সংগঠনসমুহের জন্ম দেয় এটি তারই প্রতিফলন। ইতোমধ্যে এদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গণে অসংখ্য অপকর্ম সাধিত হয়েছে। দু:খের সাথে বলতে হয় বাঙালীর হাজার বছরের সেরা যে অর্জন মহান মুুক্তিযুদ্ধ ও সেই অর্জন থেকে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বসী কোটি বাঙালীর চেতনা ও অনুভুতির যে ভাস্কর্য সে জায়গাটিও তাদের হাতে কলুষিত হয়েছে। এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও চরম অসম্মানের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য হিসেবে আমাদেরও মাথা হেঁট করে দেয়। শুধু এখানেই শেষ নয় ঘটনার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর তাঁর অফিস কক্ষে যখন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করছিলেন ঠিক তখন কতিপয় কর্মকর্তা মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরের কক্ষে অনুপ্রবেশ করে তাঁর সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ওখানে উপস্থিত শিক্ষকদেরকেও তারা হুমকি প্রদর্শন করে।
মুক্তিযুদ্ধ কেবল একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড অর্জন নয়। এটি একটি অনুভুতির নাম। যেখানে জড়িয়ে আছে একটি জাতির জন্মের ইতিহাস। এ ইতিহাসের উপর বিন্দু পরিমাণ কালিমা লেপন একেবারেই সহ্যতীত।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চায় ঐ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছিল সেটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপহ্নী। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যকেই এ বিষয়ে সর্তক হওয়া প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যাতে পূর্ণাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply