জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উথুলী সোনালী ব্যাংক শাখায় দিনেদুপুরে ডাকাতির ঘটনার ঠিক ১ মাস পর অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লুটকৃত ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা। ডাকাতির সময় ব্যবহৃত পিপিই, হেলমেট, খেলনা পিস্তল,দুইটি চাপাতি, দুইটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ভারতীয় সনি টিভির সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রল দেখে এই চারজন ব্যাংক লুটে উদ্বুদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী তারা প্রশিক্ষণ নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী অনলাইন মার্কেট প্লেস দারাজ থেকে সংগ্রহ করে খেলনা পিস্তল। ডাকাতি শেষে দলনেতা রাসেল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দেয়। অবশেষে আজ ভোরে যশোর চৌগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জীবননগর উপজেলার দেহাটি থেকে বাকী তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তারা আগে থেকেই অবগত ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে সাফাতুজ্জামান রাসেল (৩০), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর শাহর ছেলে মোহাম্মদ রকি (২৩), মৃত আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর ছেলে মোহাম্মদ হৃদয় (২২) ও মফিজুল শাহর ছেলে মাহাফুজ আহমেদ আকাশ (১৯)। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী সাফাতুজ্জামান রাসেল।
তিনি আরও জানান, ডাকাতির সময় ব্যবহৃত একটি পিপিই,এক জোড়া হ্যান্ডগ্লাভস,দুইটি হেলমেট, একটি খেলনা রিভলবার, একটি খেলনা পিস্তলের ভাঙ্গা অংশ,দুইটি চাপাতি, দুইটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল ১৫ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে জীবননগর উথুলী সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় খেলনা পিস্তলের মুখে জিম্মি করে নগদ ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি