December 22, 2024, 11:53 am
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া কিশোরের মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম নয়ন হোসেন (১২)। সে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানার নৃসিংহপুর গ্রামের ফকিরপাড়ার দিনমজুর মিঠু শাহ’র ছেলে। সে পেশায় একজন পাখিভ্যান (ব্যাটারি চালিত ভ্যান) চালক।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া-বড়সলুয়া সড়কের ঢমপুল মাঠ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় না মেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে পুলিশ। আশপাশের কয়েকটি থানায়ও বিষয়টি অবহিত করা হয়।পরে রাতে থানায় এসে ওই কিশোরের পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনরা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত কিশোরের মামাতো ভাই রতন আলী জানান, শুক্রবার সকালে জীবিকার তাগিদে পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় নয়ন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে চাল দিতে যায় সে। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের সদস্যরা।পরদিনও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়নের মরদেহের ছবি দেখে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় যোগাযোগ করেন তারা। নয়ন দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরে তার ছবি ও পরনে থাকা কাপড়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। খবর পাঠানো হয় আশপাশের কয়েকটি থানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়নের মরদেহের ছবি দেখে গতকাল রাত ১১টায় সদর থানায় আসে তার স্বজনরা। মরদেহটি নয়নের বলে শনাক্ত করে তারা। ময়না তদন্ত শেষে রাত ১২ টার দিকে তার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, নিহতের স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মাঠের একটি ঝোপের পাশে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Leave a Reply