October 30, 2024, 8:03 pm
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কুষ্টিয়া/
করোনারা দ্বিতীয় ঢেও মোকাবেলায় তেমন শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই খুলানা বিভাগের ১০ জেলায়। ইতোমধ্যে করোনার প্রভাব পড়তে মুরু করেছে। প্রতিদিনই এখানে গড়ে সনাক্ত হচ্ছে ৩০ জন। পাশাপাশি আছে মৃত্যুর ঘটনা। প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হবার কারনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১০ জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে করোনা পরীক্ষা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুটি আরটিপিসিআর মেশিনের মধ্যে একটি অচল হয়ে গেছে। ফলে খুলনায় করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষা করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, সোমবার ঝিনাইদহ ও খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন করে রোগী মারা গেছেন। রোববার মারা গেছেন দুজন। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে আক্রান্তের তালিকায় যশোর জেলা শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মধ্য মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৬২৪ জনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। তার মধ্যে ২৪ হাজার ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়।
এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় ৪২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪১৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় রয়েছে খুলনা জেলায় ১০৮ জন, কুষ্টিয়ায় ৮২ জন, যশোরে ৫০ জন, ঝিনাইদহে ৩৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩১ জন, বাগেরহাটে ২৬ জন, নড়াইলে ২০ জন, মেহেরপুরে ১৫ জন এবং মাগুরায় ১৩ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) চিকিৎসক ফেরদৌসী বেগম বলেন, বিভাগের আট জেলায় ২৯ নভেম্বর ১৮ জন এবং ৩০ নভেম্বর ৫৭ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। সোমবার আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ জনই যশোরের অধিবাসী।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থপনের কাজ চলছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেলের দুটি মেশিনের মধ্যে একটি অকেজো থাকায় বিদেশগামীদের রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
Leave a Reply