December 22, 2024, 10:04 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তারের বড় ছেলে ওয়াসেক সাত্তার আবিরের (২৫) মৃত্যুর রহস্য এখনও পুলিশ উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে।
এদিকে যশোরের তালবাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আবিরের জানাযায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যোগদান করেন। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থেকে একটি দল যশোরে যান এবং মরহুমের জানাযায় অংশ নেন। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর মাহাতাব উদ্দিন সরকার, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন, পরিষদের সিনিয়র নেতা প্রফেসর ড. আনেয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক স্বপন, সিনিয়র কর্মকর্তা এটিএম এমদাদুল আলম এ দলে ছিলেন। তারা মরহুমের পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সান্তনা দেন।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার হাতিরঝিলে পানিতে ডুবে আবিরের মৃত্যু হয়।
ওয়াসেক সাত্তার আবিরের ছোট ভাই ওয়াসিফ সাত্তার নিবিড় জানান, ২৩ নভেম্বর রাতে যশোর থেকে মায়ের সঙ্গে ঢাকায় যান ওয়াসেক সাত্তার আবির। মঙ্গলবার বিকেলে একটি ফোন পেয়ে তিনি হাতিরঝিলে যান। রাতে হাতিরঝিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিভাবে তিনি হাতিরঝিলে পড়ে গেলেন তা পরিষ্কার নয়। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ বিন আব্দুল কাদির বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিলের একটি ব্রিজ থেকে আবির পানিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসাদ বিন আব্দুল কাদির আরও বলেন, যে স্থান থেকে ঝিলের পানিতে তিনি পড়েছেন সেই স্থানটি রাতে অন্ধকার ছিল। ফলে কিভাবে তিনি পানিতে পড়েছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ওয়াসেক সাত্তার আবিরের ছোট ভাই ওয়াসিফ সাত্তার নিবিড় জানান, ওয়াসেক সাত্তার আবির মালয়েশিয়ার পুত্রামালায় ইউনিভার্সিটিতে (ইউপিএম) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া করতেন। করোনার কারণে তিনি দেশে অবস্থান করছিলেন। হাসপাতাল থেকে মরদেহ পাওয়ার পর যশোরে নিয়ে এসে দাফন করা হবে।
এদিকে, ওয়াসেক সাত্তার আবিরের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
Leave a Reply