দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দীর্ঘ ৮ বছর পর ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে ১ নং খতিয়ানের বরাদ্দকৃত বেদখল সম্পত্তি দখলমুক্ত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্পত্তি দখল না পাওয়ায় লিখিত আকারে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে সোমবার সকালে সম্পত্তি দখলমুক্ত করেন কুমারখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান।
এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামমীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু, সার্ভেয়ার, থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় আট বছর পূর্বে কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া মৌজায় বীরমুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিনের নামে ২৫ শতাংশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলীর নামে ১৮ শতাংশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলামের নামে ২২ শতাংশ এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেনের নামে ২৫ শতাংশ ১ নং খাস খতিয়ানের জমি বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু বরাদ্দকৃত জামালের জমি প্রভাবশালী মতলেব মোল্লা, ইয়াকুবের জমি শ্রী শ্রী তারক চন্দ্র মন্ডল ও মাস্তান মোল্লা, শরিফুলের জমি মোঃ বিপুল এবং লোকমানের জমি আকাম উদ্দিন জোরপূর্বক জবরদখল করে রাখে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন বলেন, আমার পাঁচটি ছেলে।মাথা গোজার ঠাঁই নেই।সরকার ২৫ শতাংশ জমি দিছিল থাকার জন্য।কিন্তু প্রভাবশালীর জন্য দখল নিতে পারিনি।আজ এসিল্যান্ড স্যার জমি ফিরিয়ে দিলেন।বীরমুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন বলেন, সাত বছর পরে বরাদ্দকৃত জমি ফেরত পেয়ে খুব ভাল লাগছে। ঘর বানিয়ে বাস করব।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, ৮ বছর পূর্বে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে ১ নং খাস খতিয়ানের জমি বরাদ্দ দেওয়া হলেও তারা দখল নিতে পারেনি।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্ব-স্ব নামে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
Leave a Reply