হুমায়ুন কবির/
ঢাকা সহ সারাদেলের বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু দামে লাগাম আসছে না। ছোট ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। শিমের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
সবজির মতো চাল ও ভোজ্যতেলের দাম কমার লক্ষণ নেই। মসুর ডালের দাম গত সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছিল। নতুন করে আর হেরফের হয়নি। আলুও আগের মতো বেশি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। স্বস্তির বিষয়, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে।
ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০-৫০ টাকা শিমের কেজি ১২০-১৪০ টাকা নতুন আলুর কেজি ১৪০ টাকা। কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা রেজাউল খানের দোকানে শুক্রবার শিম, শালগম ও নতুন আলু কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তাঁর দোকানে বেগুন, গাজর, মুলা ও বরবটির কেজি চাওয়া হয় মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়, কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা চান তিনি। প্রতি আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে পুরোনো আলুর কেজি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। যদিও সরকার নির্ধারিত দর ৩৫ টাকা। এ দামে কোথাও আলু বিক্রি করতে দেখা যায়নি। বাজারে এখন চার ধরনের পেঁয়াজ দেখা যায়। সবচেয়ে দাম কম চীনা ও তুরস্কের পেঁয়াজের, মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬০ টাকার আশপাশে ও দেশি পেঁয়াজ মানভেদে কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। চীনা রসুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
সবজির মতো চাল ও ভোজ্যতেলের দাম কমার লক্ষণ নেই। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে।
বাজারে ছোট দানার মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ও মোটা দানার মসুর ডাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
ফার্মের বাদামি ডিমের ডজন (১২টি) ১০৫ টাকা। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে। বাজারে এক কেজি ওজনের একেকটি ইলিশ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খাল, বিল ও নদীনালায় পানি কমতে শুরু করায় দেশি বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ছে, যা বাজারে আসছে। তবে মাছের বাজার হাতের নাগালেই আছে।
Leave a Reply