December 23, 2024, 2:43 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
মেহেরপুরে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছনার ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কুমার পালকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পর এ কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, উপদেষ্টা তুহিন আরণ্য, সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুছ টিটো, সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেন, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সম্পাদক মাহবুব চান্দু।
জেলা প্রশাসক জানান বিষয়টি সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, সমাজসেবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত রবিবার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ঐ ২ সাংবাদিক। এ সময় তাদেরকে মারধোর করে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করা হয়। মেহেরপুর জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এ হামলার শিকার হন তারা।
হামলার শিকার সাংবাদিকেরা হলেন টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি’র মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি আবু আক্তার করণ ও অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশ রয়টার্স এর জেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন।
সাংবাদিক আবু আক্তার করণ জানান জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, অফিসে নিজ চেয়ারে বসে সকলের সামনে ধুমপান, অফিস চলাকালীন কার্যালয়ে রুম বন্ধ করে ঘুম ইত্যাদি।
করণ জানান বেশ ক’ুদন ধরেই এ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশিত হয়ে আসছিল। করণ এবং জাকির ঐ কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও তার বক্তব্য নিতে।
করণ জানান যখন বেলা ২টার দিকে তারা ঐ কার্যালয়ে যান তখন ঐ কর্মকর্তা অফিসেই ছিলেন। তবে ভেতর থেকে রুম বন্ধ ছিল। সাংবাদিক এসেছে শুনে তিনি রুম থেকে বেড়িয়ে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে বকাঝকা শুরু করেন। এক পর্যায়ে একটি কক্ষে নিয়ে তাদেরকে আটকে রাখা হয়। পরে ডিডি আব্দুল কাদের, প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল কাদের এর ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মিলনসহ বেশ কয়েকজন ঐ রুমের মধ্যেই তাদেরকে মারধর করে এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে মেহেরপুরের অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা পুলিশের একটি দল গিয়ে ঐ দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় উপপরিচালক আব্দুল কাদের, প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, গাড়ি চালক মিলন শেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply