December 27, 2024, 10:03 am
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি/
অবাঞ্ছিত ঘোষিত কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বিদেশ থেকে বানোয়াট ও মনগড়া গল্প বলার মাধ্যমে দেশ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বুধবার (০৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকজন অবাঞ্ছিত ঘোষিত (চঘএ) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বিদেশ থেকে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য সম্বলিত গল্প এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া মান্যবর ব্যক্তিদের কথোপকথন সংগ্রহ করে আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তা কাট-পেস্ট ও এডিট করে তাদের উদ্দেশ্য মাফিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপনের মাধ্যমে সেনাসদস্য ও দেশের সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়ে ক্রমাগত দেশ এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। তাদের এহেন কর্মকাণ্ড তাদেরকে চঘএ করাটা যে যথার্থ ছিল, তাই প্রমাণ করে। তাদের এ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘৃণ্য অপকর্মে প্রতিটি সেনাসদস্য অত্যন্ত মর্মাহত। কাল্পনিক, বাস্তবতা ও নৈতিকতা বিবর্জিত এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব গল্প বা বক্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না বরং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসর নেওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অবসর জীবনে যদি কোনো প্রাক্তন সেনাসদস্য শৃঙ্খলা বিবর্জিত জীবনযাপন করেন, যা সামরিক ও বেসামরিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে, তখন তাকে সংশোধনের জন্য দেশের সব সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত বা চবৎংড়হধ ঘড়হ এৎধঃধ (চঘএ) ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ৪৯ বছরের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ এ সেনাবাহিনী বর্তমানে পেশাগতভাবে দক্ষ ও পরিপক্ক, যা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে হাসিমুখে উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সেনাসদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশে এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও তার উন্নত প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ গভীরভাবে ধারণ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশমাতৃকার সেবায় সর্বদা নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। দেশে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে অত্যন্ত সুসংহত করে চলেছে। চলমান করোনা মহামারিকে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করার পর, তাঁর নির্দেশে সেনাবাহিনী করোনাযুদ্ধে জনগণের পাশে থেকে অভূতপূর্ব সেবা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে সেনাবাহিনী।
Leave a Reply