December 24, 2024, 5:05 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর কাছে চলে আসছে প্রতিরক্ষা বাঁধের ধস। এখন ধস চলে এসেছে সেতুর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ মিটারের মধ্যে। নতুন করে বাঁধে ফাটল এবং ব্লক ধসে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ দুপুরে ধসে যাওয়া বাঁধে দাড়িয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, আমাদের এতো স্বপ্নের সেতুর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এখনি ব্যবস্থা না নিলে হরিপুরের নদীপাড়ও ধসে যেতে পারে। পানি কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ধস নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান তারা।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সেতুর ১০০মিটার ভাটিতে হরিপুর প্রান্তে প্রতিরক্ষা বাঁধের ফাটল দেখা দেয়। এরপর গত শুক্রবার থেকে সিমেন্টের ব্লক খুলে নদীতে চলে যেতে থাকে। আজ দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে আটটি সারি ধসে যেতে দেখা গেছে। ধসে যাওয়া একেকটি সারিতে ৮০ থেকে ৯০টি ব্লক রয়েছে। নতুন করে সেতুর আরো কাছে অর্থাৎ প্রায় ৮০ মিটারের মধ্যেই বাঁধ থেকে নদীতে নেমে গোছল করার সিঁড়ির কাছে ধস দেখা দিয়েছে। আগের ধসের জায়গায় ফাটল আরো বড় হয়েছে।
কুষ্টিয়া শহর লাগোয়া গড়াই নদীর ওপর শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে এই প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এলজিইডি। এলজিইডির কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান ম-ল বলেন, এলজিইডির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে আমি সোমবার ওই জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। এর সাউন্ডিং (পরিমাপ) করেছি। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নিরুপণ করে আজ ঢাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাবো। তারা পরামর্শ দিবেন কীভাবে মেরামত করা যাবে। নতুন ধসের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আবার আজ দেখে আসবেন। দ্রুত কোন উদ্যোগ নেবেন কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদুর রহমান ম-ল বলেন, আমাদের সে প্রস্তুতি নেই, ফান্ডও নেই। আমাদের কাছে ব্লকও নেই। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা যায় কি-না সে ব্যাপারে ঢাকার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি- বলেন ম-ল। ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর ব্যাপরেও আবেদন জানানো হচ্ছে।
এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যাসোসিয়েট এ সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০৪ মিটার, প্রস্থ ৬ দশমিক ১ মিটার। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৭৮ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়।
এ নিয়ে একজন সাংবাদিকের ভিডিও প্রতিবেদন:
Leave a Reply