দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের সড়ক যোগাযোগের অন্যতম অংশ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক এখন বেহাল। কোন কোন যায়গা এতোটাই ভাঙাচোরা যে সে অংশটুকু যানবাহন একেবারে ধীরগতিতে পার হচ্ছে। কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত মেরামতের ফান্ড ধেকে আলগা ইট-বালু ফেলা হচ্ছে মাঝে মধ্যে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে চলাচলকারী বড় বড় যানবাহনের চাকার সঙ্গে তা ভেঙ্গে উড়ে যাচ্ছে। মেরামতের এক-দুইদিন পরই আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার পাশাপাশি চলাচলকারী এবং সড়কের পার্শ¦বর্তী বাসিন্দাদের ভয়াবহ বায়ু দূষণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। চোখে ধুলা-বালি পড়েও দুর্ঘটনা ঘটছে।
কুষ্টিয়ার আলামপুর ও বিত্তিপাড়ার মাঝামাঝি সড়কের বেহাল দৃশ্যের ছবি তোলার সময় ধীরগতির ট্রাক থামিয়ে এর চালক রবিউল চিৎকার করে বলেন, এই ইট বালু দিয়ে কিছুই হবে না, পিজমাটি (বিটুমিন) দিতে বলেন। আমরা আর চলতে পারছি না। এই ভাঙা রাস্তা পার হতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। গাড়ীও নষ্ট হচ্ছে, ডেমারেজ (মেরামত খরচ) যাচ্ছে। দূরপাল্লার বাসছাড়াও এই সড়কে অপেক্ষাকৃত ছোট যানবাহন হিউম্যান হলার ও ট্যাক্সি করেও যাত্রী পরিবহন হয়। ট্যাক্সি চালক জাফর হাসান বলেন, দেশে এতো উন্নয়ন আর আমরা চলছি এই ভাঙা সড়কে। এ সড়ক দিয়ে একেবারে চলা যাচ্ছে না। প্রায়ই অ্যাক্সিডেন্ট (দুর্ঘটনা) হচ্ছে। ধূলাবালির কারণে চলা মুশকিল বলছিলেন মোটরসাইকেল চালক খোকন হোসেন। তিনি যোগ করেন, এ সড়ক দিয়ে একবার গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানিমুল হকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এ সড়কটি ফোর লেনে উন্নীত হবে। এর মূল্যায়ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। একারণে মেরামতে বেশি খরচ করা হচ্ছে না, শুধু ইট-বালি বিছিয়ে কোনমতে চলার উপযোগী রাখা হচ্ছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমের আগেই পাথর শেষ হয়ে যাওয়ায় কার্পেটিং করা যাচ্ছে না। মাস খানেক পর ফোর লেনের কাজ শুরু হলে এ সড়কে সব ধরণের ভোগান্তি দূর হয়ে যাবে বলেও সড়ক বিভাগ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি