December 22, 2024, 7:48 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষার ব্যভস্থা করা হবে। তবে কিভাবে এ পরীক্ষা নেয়া হবে সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে। এ সংক্রান্ত আলোচনার লক্ষ্যে ইউজিসি আগামী ১৫ অক্টোবর বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গেছে। সেখানে সকল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যগন উপস্থিত থাকবেন।
গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সমন্বিতভাবে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
তবে করোনার আসন্ন প্রার্দূভাব কি রকম দাঁড়ায় তার উপনও পরিস্থিতি অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রনালয়ের একাধিক সাত্র। তাই জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর কথা বলা হলেও, তা পরীক্ষা পেছাতেও পারে। সেক্ষেত্রে শীতের শেষে ফেব্রæয়ারি বা মার্চে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।
ওদিকে বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার ধরন নিয়ে এখনও বির্তক চলমান। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি গুচ্ছ না কেন্দ্রীয় (ক্যাট) পদ্ধতিতে নেয়া হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা ক্যাট প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতি। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত কোনটি গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। এই ভর্তি পরীক্ষা থেকে প্রতি বছর বিশাল একটি অর্থ কোন যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়াই শিক্ষকরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। এটি বন্ধ হয়ে যাক সেটি শিক্ষকেরা চাচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ইতোমধ্যে তিনটি পদ্ধতির প্রস্তাব এসেছে। প্রথমে গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির চিন্তা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসি বৈঠকে বসেছিল গত বছরের শেষের দিকে। প্রথম বৈঠকে এ পদ্ধতি বাদ দিয়ে সমন্বিত এবং পরে ক্যাট পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সমন্বয়ে একটি কমিটিও করা হয়। ওই কমিটিই ভর্তিতে ক্যাট পদ্ধতির প্রস্তাব করে।
কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সরকার যেহেতু এইচএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে। পরিস্থিতি ভালো হলে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে, এর বিকল্প নেই।
অন্যদিকে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর বলেন, আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবো। এক্ষেত্রে তিনটি গুচ্ছ হবে। এগুলো হচ্ছে- কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, প্রথম দুটির জন্য দুটি পরীক্ষা হবে। শেষেরটির জন্য বিজ্ঞান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজনেস স্টাডিজে তিনটি পরীক্ষা হবে। আলোচনা অনুযায়ী বড় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক স্বার্থ সামনে রেখে বড় পাঁচটিও গুচ্ছবদ্ধ পরীক্ষায় চলে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আগামী ১৫ অক্টোবর এ নিয়ে একটি বৈঠক আছে। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে বলে আশা রাখছি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের সব মেডিকেল কলেজে অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। গত বছর কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply