December 23, 2024, 3:52 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরে ‘বহু অপকর্মের’ অভিযোগে আমিনুর রহিম পল্লবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পল্লবের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের আশ্রয়ে ও তাদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছিল। এসব করতে এক বিশাল ক্যাডার বাহিনীও ছিল তার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২.৩০ দিকে তার ‘অফিস’ থেকে তাকে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও ডিএসবির একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত।
কুষ্টিয়া মডেল থানা ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন শহরের পৌর বাজার নিয়ন্ত্রণ, বাজারের জায়গা দখল, লোকজনকে মিথ্যা ঘটনায় হয়রানি করে অর্থ আদায়, টেন্ডারবাজি, জায়গা দখল- এমনকি চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ বলছে ২০১৫ সাল থেকে আমিনুর রহিম পল্লব কুষ্টিয়া পৌর মার্কেট থেকে চাঁদাবাজি, সিভিল সার্জন অফিসের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহসহ বাজার, ঘাটসহ পুরো এলাকার কর্তৃত্ব কায়েম করে।
মহব্বত আলী নামে এক ব্যবসায়ীর একটি মার্কেট প্রায় আড়াই বছর ধরে দখলের অভিযোগ ছিল পল্লবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল পৌর বাজারের খাসির মাংসের দোকান ও মাছের মার্কেট দখলের। জানা যায় এই মার্কেটে নাটোর থেকে যেসব মাছের গাড়ি আসে, তা পল্লবের আড়তে বিক্রি করা বাধ্যতামূলক ছিল। না হলে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ ছাড়া পৌর বাজারের ফলসহ অন্য আড়তদারদের কাছ থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায় করা হয়।
পুলিশ জানায় সিভিল সার্জন অফিসের গত কয়েক বছরে যেসব টেন্ডার হয়েছে তার সব তিনি একাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন। গত মাসে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গাছ বিক্রির টেন্ডার দেওয়া হয়। সেই টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন পল্লব। সেখানে শিডিউল কিনতে গেলে পল্লবের ক্যাডাররা সবাইকে বাধা দেয়।
সকল অপকর্ম করতে পল্লব দখল করে শহরের ১০ তলা পরিমল থিয়েটার শপিং মল। সেখানে অফিস বানিয়ে তিনি চারিয়ে আসছিলেন সকল অপকর্ম। এই অফিসে প্রায়ই সালিশ বসানো হয়। সালিশের নামে লোকজনকে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। হুমকি দিয়ে আদায় করা হয় টাকা। টাকা না দিলে চলে অত্যাচার।
সম্প্রতি থানাপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তার জমি কেনেন পল্লব। ১৩ লাখ দাম করে জমি নিলেও ৫ লাখ টাকা পরিশোধের পর আর কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। উল্টো ওই ব্যাংকারের মেয়েকে হয়রানি করা হচ্ছে। জমি জালিয়াতির ঘটনায় তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।
“তাকে জ্ঞিাসাবাদ করা হচ্ছে” বলে জানান এসপি তানভির আরাফাত।
Leave a Reply