দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় বেঙ্গল টোব্যাকোর অভ্যন্তরে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল হারপিক, গ্লাস ক্লিনার,টাইলস ক্লিনার, ভিকসল, থিনার, নীল, ডিটারজেন্ট পাউডার ও সিগারেটসহ আরও অনেক পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে বাজারাতও করা হচ্ছিল। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে কুষ্টিয়া র্যাবের বিশেষ অভিযান। সাথে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে ভেজাল পণ্য তৈরির অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুইটি প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব -১২ কুষ্টিয়ার সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া বাড়াদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় তারা ভুয়া রেজিষ্ট্রেশন ব্যবহারকারী কারখানা থেকে ভেজাল পন্য, হারপিক, গ্লাস ক্লিনার,টাইলস ক্লিনার, ভিকসল, থিনার, নীল, ডিটারজেন্ট পাউডার ও সিগারেটসহ আরও অনেক পণ্য জব্দ করা হয়। তারা মিসফলা কনজুমার নামে প্রোডাক্টস দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করে আসছিলো।
এছাড়া পাশেই আরেকটি কারখানায় বেঙ্গল টোব্যাকোর মধ্যে অবৈধভাবে তৈরী বেঙ্গল কসমেটিকস নাম ব্যবহার করে ভেজাল পন্য ডিটারজেন্ট পাউডার, তৈরী ও বাজারজাতকরণ করে আসছিলো।
জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান জানান, মিসফলা কনজুমার নামে প্রোডাক্টস দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করার অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২ লাখ টাকা এবং জুগিয়া কদমতলা মোড়ে বেঙ্গল টোব্যাকোর মধ্যে বেঙ্গল কসমেটিকস নাম ব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এবং ভেজাল মালামাল আগুনে পুড়িয়ে ধংস করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি