December 22, 2024, 9:25 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
দেশে দক্ষ ঠিকাদার তৈরি করতে গাইডলাইন করতে চায় সরকার। আর নি¤œমানের কাজের জন্য শাস্তিও দিতে চায় একই সাথে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমনটি জানিয়েছেন। তিনি পেশাদার ঠিকাদার তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের জন্য শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় এসব কথা বলেন, জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
মন্ত্রী বলেন, কাজের গুণগত মান সবসময় নিশ্চিত করতে হবে। নিম্নমানের কাজ, অনিয়ম-দুর্নীতি কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪টি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। যেখানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, ঠিকাদার কাজের জন্য যেসব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয় না। সুতরাং ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সম্পূর্ণ রাস্তায় বক্স একবারে কেটে ফেলে রাখা হয়, এটি করা যাবে না এবং বক্স কেটে বেড ফিলিং করে অবশ্যই রোলার করতে হবে।
গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় যাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই টেকসই, মানসম্পন্ন ও উৎপাদনশীল হতে হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম কাজে গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রকৌশলী এবং জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীরা সভায় অংশ নেন।
Leave a Reply