October 30, 2024, 8:03 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
করোনার প্রভাবে শিক্ষাখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন পর্যন্ত সব থেকে পিছিয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলো। এই বিশ^বিদ্যালয়গুলো মুলত কোন পদক্ষেপই নিতে পারেনি। এমনকি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় কিনা সেটিও কোন বিশ^বিদ্যালয় দেখাতে পারেনি। সফলতা নেই বিশ^বিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেরও।
এসব কারনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি সেমিস্টার পিছিয়ে যেতে পারে। আর এ জটের ধাক্কা সামাল দিতে অন্তত দুই বছর লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক উপচার্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩১ আগস্টের পর যদি আর ছুটি নাও বাড়ে, তবু ৬ মাসের ছুটিতে ৯ মাস থেকে এক বছরের সেশনজট হবে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে অক্টোবর-নভেম্বরে নতুন সেমিস্টার শুরু করা যাবে। তবে সাধারণভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রলম্বিত হবে বিদ্যমান সেমিস্টার। কেননা প্রতিষ্ঠান খুলেই পরীক্ষা নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে দেড়-দুই মাসের প্রস্তুতির সময় দিতে হবে।
বিশ^বিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হাতেও তেমন বিকল্প নেই। ইউজিসির নীতিনির্ধারকরা উচ্চশিক্ষার বিদ্যমান ক্ষতি কমিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত দুই বিকল্প ভাবনার সাথেই আছেন। একটি হচ্ছে-সাধারণ ছুটির আগে নেয়া শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করা কোর্সের ওপর বিশেষ ব্যবস্থায় চলতি সেমিস্টারের পরীক্ষা নিয়ে রাখা। এটি সম্ভব হলে ছয় মাসের সেশনজট এখানেই কমে যাবে। এরপর জুলাইয়ে শুরু হওয়া সেমিস্টারের শ্রেণির পাঠদান অনলাইনে নেয়া। এ দুই কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সেশনজটই হবে না।
অন্য বিকল্পটি হচ্ছে- এখন পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে সেশনজট মেনে নিয়ে দুই বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা করা। সেটি হচ্ছে- যখনই ক্যাম্পাস সচল হবে, তখন থেকে কোর্সের শ্রেণি কার্যক্রম ও ল্যাবরেটরি ওয়ার্ক সাধারণভাবে চলবে। এক্ষেত্রে কোর্সের কিছু ‘টপিক’ (পাঠের বিষয়) বাদ দেয়া যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন মনে করে পরিস্থিতি উন্নয়ন নির্ভর করবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতটা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে তার ওপর। এক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’ নেতৃত্ব এবং আন্তরিকতা খুবই দরকার।
একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলেছেন বিদ্যমান অবস্থায় প্রকৃত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যে সামর্থ্য প্রয়োজন তা প্রায় বলতে গেলে কোন বিশ^বিদ্যালয়েরই নেই। তিনি মনে করেন অবকাঠামো, জ্ঞান বা দক্ষ সেই ধরনের জনবল কোনাটিই নেই। কারন সেভাবে এগুলো বিকশিত হয়নি।
Leave a Reply