দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক/
গত ঈদের মতো এবারের ঈদের পরেও আবার রোগী সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এবারের ঈদ ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এ ঈদেই মানুষ গ্রামের বাড়ি বেশি যায়, পশুর হাট বসেছে। কতজন সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দিয়েছেন সেটাও আতঙ্কের একটা জায়গা। তাতে করে এবারে সংক্রমণের হারটা বেশি হবে।
করোনার সাধারন নিয়মানুযায়ী দুই সপ্তাহ পরে রোগীর সংক্রমণের হার আর তিন সপ্তাহ পরে মৃত্যুর হার দেখা যায়। রাজধানী ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরে সংক্রমণ এখন বেশি। ফেরিঘাটে-গ্রামে মানুষের মিক্সিং, ঢাকার মানুষ ঢাকায় ফিরবে। একইসঙ্গে রোজার ঈদের ধাক্কাটাই এখনও সামলানো যায়নি, তার ওপর এবারের ঈদের মানুষের যাতায়াত আরেকটি ধাক্কা যোগ করবে। সবকিছু যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতো তাহলে হয়তো আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ রোগী সংখ্যা কমে যেতো, কিন্তু সেটা না হয়ে এখন রোগী বাড়বে, আরেকটা বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের জন্য।
এদিকে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন দেশে যতটা সচেতনতা তৈরি করার কথা ছিল ততটা সচেতনতা তৈরি যায়নি। শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি। মানুষও সচেতন নয়, আইন না মানার প্রবণতা তাদের ভেতরে রয়েছে।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন গত ঈদের পর ঢাকার বাইরে রোগী বেশি বেড়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ঢাকাতেই বেশি সংক্রমিত মানুষ, তারা গ্রামে যাবে আর এই যাতায়াতের কারণে আগস্টের মাঝামাঝিতে আবার একটা ‘রাইজ’ হবে । তিনি বলেন, ঈদ শেষ হওয়ার ১৪ দিন পর থেকে সে রোগী সংখ্যা ‘শো’ করা শুরু করবে ‘ইনকিউবিশন পিরিয়ড’ শেষ হলে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি