December 22, 2024, 10:13 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
অবশেষে বহু বির্তকিত নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি দলের সাথে সম্পৃক্ত ও জাতিয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে আওয়ামী যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী এজেডএম সম্্রাটকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কুষ্টিয়া। যদিও সম্্রাটের পরিবার থেকে দাবি করা হয় সাদা পোশাকের ২০/২৫ জনের একটি দল সম্্রাটকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি এলাকার তাহাজ মোড় থেকে গত ২৬ জুলাই তাকে তুলে নেয়া হয়। তবে র্যাব জানিয়েছে ২৭ জুলাই ভোর ৪টার দিকে র্যাব-১২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল সম্্রাটকে ঐ উল্লেখিত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৩ টি বিদেশী পিস্তল, ৩ টি ম্যাগাজিন ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব প্রেরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সম্্রাটকে কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে সম্্রাট নিষিদ্ধ ঘোষিত গনমুক্তি ফৌজ এর অন্যতম নেতা মুকুলের শীর্ষ সহযোগী। স¤্রাট
দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ অস্ত্রবহন করে কুষ্টিয়ায় টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
এদিকে সম্্রাটের মা শাহনাজ সুলতানা বনি যিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য দাবি করেছেন সম্্রাট রবিবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া শহর আওয়াম লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতার ড্রাইভার রাসেলের সাথে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদ আহমেদের পাটিকাবাড়িস্থ বাড়িতে যাওয়ার জন্য তার ব্যক্তিগত কার নিয়ে রওনা দেন। সম্্রাটের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরে। তার পিতা আমিনুল ইসলাম। সম্্রাটের মা আরো জানান সাদ আহমেদের বাড়ি থেকে ফেরার পথে রাত আনুমানিক ৮টার দিতে ২০/২৫ জনের একটি সাদা পোশাকধারী দল তার গাড়ির গতিরোধ করে এবং তুলে নিয়ে যায়। তখন সম্্রাটের সাথে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার দ্বীন ইসলাম, ২৮ নামে একজন ছিল।
ঘটনা জানার পর তিনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সম্্রাটের হদিস বের করতে পারেন নি।
এদিকে র্যাব বিকেল ৫টার দিকে সম্্রাটকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করে।
সম্্রাটকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ২০১৪ সালে। যখন তাকে কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ দেয়া হয়। জানা যায় যখন তাকে এই পদ দেয়া হয় তখন তিনি অলরেডি পুলিশের তালিকায় একজন সন্ত্রসাী। একই সাখে ২০০৬ সাল থেকে তিনি বিএনপিপন্থী ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমলাপুর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে, তিনি ছাত্রদলের ঐ পদে অধিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী যুব লীগের র কুষ্টিয়া শহর কামিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হন।
ঐ সময়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রেজা তখন সাংবাদিকদের জানান ২০১৬ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। ঐ ঘটনায় ২০ আগষ্ট পলিশ সম্্রাটের অফিসে অভিযান চালায়। সেখান থেকে পুলিশ ৩টি বুলেট ও ৩ টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়।
এরপর সম্্রাটকে যুগলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সম্্রাটের কথিত শহরের মজমপুরস্থ অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে একটি রিভলবার ও ৬টি গুলিসহ গ্রেফতার করে।
এসব ঘটনায় সে জেল থেকে বেড়িয়ে আসে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৬টি মামলা রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন বলেন সম্্রাটকে অনেক আগেই যুব লীগের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে জেলার আওয়ামী রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ট এমন একাধিক সুত্র বলছে আওয়ামী লীগের কোন পদে না থাকলেও সে জেলার একাধিক র্শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার সাথে ঘনিষ্ট।
Leave a Reply