December 22, 2024, 10:13 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
রাজস্ব আদায়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) ১১ মাসে (জুলাই-মে) রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপর ৬ হাজার ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বেনাপোল কাস্টমস হাউজকে। চলতি এ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয় ৫ হাজার ৬০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এ সময় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদায় করে মাত্র ২ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ সময় ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৮ মেট্রিকটন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এর আগেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল। লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন অব্যাহত রাজস্ব ঘাটতির কারণ হিসাবে তারা মনে করছেন, চাহিদা অনুপাতে বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়া এবং উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে করোনায় আড়াই মাস ধরে ভারতের সাথে আমদানি বন্ধ। ফলে রাজস্ব ঘাটতি আরো বেশি হবে।
আমদানি রপ্তানির সাথে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ মনে করেন বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও কাস্টমস এর ব্যাপক কড়াকাড়ির কারণে ব্যবসায়ীরা এ পথে আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় অর্থবছর শুরুতেই রাজস্ব আয়ে পিছিয়ে আছে। তারা মনে করেন এ পথে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন বাড়াতে হবে। দ্রুত পণ্য খালাসসহ ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে রাজ্বস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ সম্ভব।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন রাজস্ব ঘাটতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, করোনার কারণে প্রথমত আড়াই মাস ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। এছাড়া পণ্য খালাসে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বেড়ে যাওয়ায় কিছু ব্যবসায়ী এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়েছেন।
Leave a Reply