দৈনিক কুষ্টিয়া ডিজিটল ডেস্ক/
দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে অনলাইন শিক্ষায় যুক্ত করতে ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ অ্যাপ উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনলাইন শিক্ষার আওতায় সমন্বিতভাবে এই ক্লাসরুমে যুক্ত হতে হবে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে। ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অ্যাপে অনলাইন পরীক্ষাও নেওয়া যাবে। এছাড়া পরীক্ষা মূল্যায়নের সুবিধাও থাকবে এই অ্যাপে। বিজ্ঞান শিক্ষাও সম্ভব হবে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে।
২৩ জুন এটুআই আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ অ্যাপ উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা যুক্ত হন।
নির্বাচনি ইশতেহার মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে অনলাইন শিক্ষার আওতায় ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হলো বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘কাজের ধরন যেভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে আমাদের বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকবে, যাদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন দেখা দেবে। তাদের পক্ষে আর ক্লাসরুমে এসে নতুন দক্ষতা অর্জন সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে অনলাইন এডুকেশনই বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। অনেক শিক্ষার্থীর জন্য অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতিই একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে।’ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়েও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস চলমান থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েক বছর পর যেতেই হতো, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আগে করতে হলো। রূপকল্প-২০৪১ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনে তাই অনলাইন শিক্ষাই শিক্ষার্থীদের বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১০ শতাংশ শিক্ষার্থী যাদের অনলাইন শিক্ষার সুযোগ (অ্যাকসেস) দিতে পারছি না তাদের এই সুযোগ কীভাবে দেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে লোন দেওয়া যায় কিনা, ইন্টারনেটের খরচ কমানো যায় কিনা, সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়—তা নিয়ে শিক্ষা এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
আড়াই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েক বছর পর যেতেই হতো। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আগে করতে হলো। রূপকল্প-২০৪১ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং অনলাইন শিক্ষাই তাদের জন্য বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এই ভার্চ্যুয়াল ক্লাসের প্লাটফর্ম আরও কত ভালো করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বড় বিষয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে।
অনলাইনে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে বিজ্ঞান শিক্ষা কোনোভাবেই করা যাবে না তা নয়, বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি রয়েছে। এটি অসম্ভব নয়। এতে আমাদের যত রকমের চ্যালেঞ্জ থাকুক আমরা তা মোকাবিলা করবো। আমাদের কোথাও আটকে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের আটকে রাখতে পারে আমাদের মাইন্ডসেট। তাই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাইন্ডসেট বদলাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিগগিরই এই ক্লাসরুম পুরোপুরি চালু হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ পরীক্ষামূলকভাবে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ব্যবহার শুরু করেছে। এই ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলে জানান আইবিএ পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আনোয়ার। ভার্চুয়াল এই ক্লাসে অনলাইন এবং রেকর্ডিং উভয় মাধ্যমই থাকবে। লাইভ ক্লাসে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রশ্ন করে সরাসরি উত্তর জানতে পারবেন শিক্ষকের কাছ থেকে।
ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়ে শিক্ষকরা তাদের ক্লাস আপলোড করবেন। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা এই অ্যাপে প্রবেশ করবেন। শিক্ষকরা তাদের পরবর্তী দিনের ক্লাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। শিক্ষার্থীরাও জানতে পারবেন তার বিষয়ভিত্তিক ক্লাসের তথ্য। লাইভ ক্লাসেরও ব্যবস্থা থাকবে এই অ্যাপে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি