December 23, 2024, 1:39 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
চলে গেলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ জুন) সকালে ১০টায় তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি চিলেন ৮৫ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ধরে রাখতে পারলাম না। চলে গেলেন কামাল লোহানী’।
দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন দেশের বরেণ্য এই সাংস্কৃতিক যোদ্ধা।
১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার সনতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কামাল লোহানী। কামাল লোহানী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার পুরো নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুইবার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন কামাল লোহানী। এছাড়া তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে এবং ছায়ানটের সম্পাদক হিসেবে চার বছর করে দায়িত্ব পালন করেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে কামাল লোহানী বিপুল অবদান রেখেছেন। সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে তিনি ছিলেন একজন পুরোধা ব্যক্তি। তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। তার মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি ।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক, বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল লোহানী বাঙালির ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। একজন আদর্শবান ও গুণী মানুষ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সংস্কৃতি বিকাশের আন্দোলনে পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা একজন প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার অসাধারণ যোদ্ধাকে হারালাম।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Leave a Reply