October 30, 2024, 8:02 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ৮টি ওর্য়াড ও সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নকে করোনা রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রেড জোনের মধ্যে পড়েছে জেলার ভেড়ামারা ্উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নও।
কুষ্টিয়া জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যেসব এলাকায় লাখে ৩০ জনের বেশি সংক্রমিত ব্যক্তি থাকবেন, সেসব এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
এসব এলাকায় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্মুক্ত থাকতে পারে, তবে শহর অঞ্চলে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো যাবে না। এই জোনের আওতায় কর্মজীবীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, বাইরে যেতে পারবেন না। কোনো ধরনের জনসমাগমও করা যাবে না। কেবল প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিসেবার কাজেই বাইরে চলাচল করা যাবে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত গ্রামীণ এলাকায় মুদির দোকান ও ফার্মেসি খোলা রাখা গেলেও কোনো ধরনের রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান ও টং দোকান খোলা রাখা যাবে না। গ্রামীণ এলাকায় খোলাবাজার চালানো গেলেও শহরে কোনোভাবেই বাজার খোলা রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারির প্রস্তাবনা করা হয়েছে নগর এলাকার জন্য। মুদির দোকান, বাজার ও ফার্মেসির ক্ষেত্রেও হোম ডেলিভারি পদ্ধতির প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে কেবল খাদেম বা কর্মচারীরাই থাকতে পারবেন বলে প্রস্তাব এসেছে। এছাড়াও রেড জোন এলাকায় টপআপ ও এমএফএস সেবা খোলা রাখা গেলেও ব্যাংকিং খাতে কেবল এটিএম বুথ খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। যদি এই জোনে কোনো কৃষি বা ফার্মিং থাকে, তবে এসব জায়গায় যারা যুক্ত তাদের কাজের পরিষেবা বৃদ্ধি করা হতে পারে শিফট ভিত্তিতে। এছাড়া রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রেড জোনে স্থানীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টা নমুনা সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত বুথ স্থাপন করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। বিশেষত দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য এই পরিষেবা চালু রাখার প্রস্তাবনা থাকছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জোবায়ের হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কথা বলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত পিপিএম (ব্রা)। তিনি জানান ইতোমধ্যে আইডেন্টিফিকেশন হয়েছে এলাকাগুলো। তিনি জানান পুলিশ প্রশাসন যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করে এটা বাস্তবায়ন করবে। তিনি সকল মহলের সহযোগীতা কামনা করেন।
Leave a Reply