দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
গত বছর ভাল দাম পাওয়ায় এবারও পাট চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছে জেলার পাট চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কৃষকদের মধ্যে শ্কংা তৈরি করেছে। কারন অন্যসব খাতের মতো পাট খাতও না বিপর্যয়ে পড়ে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে উঠবে পাট। এবারও দেশী ও হাইব্রিড জাতের পাটের চাষ হয়েছে এ জেলায়।
জেলা পাট অধিদপ্তর বলছে, গত বছর মৌসুমের শুরুতে দাম একটু কম থাকলেও পরে কৃষকরা ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা মণ পর্যন্ত পাট বিক্রয় করতে পেরেছিল। এটা তাদের আশান্বিত করে। তারা পাট চাষে ব্রতী হয়। জেলার প্রায় ৯ হাজার পাট চাষি প্রণোদনা প্রকল্পে পাট বীজ, রাসনায়িক সার পেয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে মোট পাটের আবাদ হয়েছে প্রায় ৯৬ হাজার ৫১৩ একর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৪ হাজার ২৩৫ একর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ হাজার ২৭৮ একর জমিতে বেশি পাটের আবাদ হয়েছে। কুষ্টিয়া সদরে ৬৭৯২ একর, কুমারখালীতে ১২৩২৫ একর, খোকসায় ১০৬২১ একর, মিরপুরে ১৭০৯২ একর, ভেড়ামারায় ৮৭০৬ একর এবং দৌলতপুরে ৪০৯৭৭ একর।
গত বছর জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯০ হাজার ৫০০ একর জমি। আবাদ হয়েছিল ৮৯ হাজার ৫৩৪ একর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৫৪ বেল পাট।
কৃষকদের হিসেব মতে, এক বিঘা জমিতে পাট করতে ৬-৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি ১০-১১ মণ করে ফলন হয়ে থাকে। গড়ে ২০০০ হাজার টাকা দরে বিক্রয় সম্ভব হরেও একটি বড় ক্যাশ তৈরি করতে সক্ষম হবেন কৃষকরা। এর মধ্যে উৎপাদনর খরচের বিষয়টি তো আছেই।
তবে কৃষি ম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে এবার কৃষকরা ব্যাপক পরিমাণে আগাছা নাশক ব্যবহার করে পাট ক্ষেত পরিস্কার করতে। সেজন্য শ্রম খরচে তারা অনেক সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বলছেন এই পণ্যটি বাংলাদেশের কৃষকের একটি প্রিয় ফসল। বিগত বছরে সরকারের ভাল প্রণোদনার কারনে কৃষকরা ভাল দাম পেয়েছে। করোনা কিছুটা আশঙ্কা তৈরি করছে কিনা জবাবে তিনি বলেন বাজেটে এবারও বরাদ্দ রয়েছে। আশা করা যায় কৃষকরা লাভবান হবেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বেলঘরিয়ার হাবিবুর রহমান এবার ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি প্রস্ততি নিচ্ছেন শীঘ্রই পাট কাটবেন।
তিনি বলেন তার মতো অনেক কৃষকই ভয়ের মধ্যে আছেন। দামটা ভাল আসবে কিনা।
কুষ্টিয়া জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুন-অর-রশিদ এ বছর পাটে রোগের আক্রমণ খুবই কম ছিল এবং পাটের উৎপাদনও বেশ ভালো।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওবায়দুর রহমান বলেন পাট অধিদপ্তর থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি