দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
আপনার সন্তানের বয়স কম। তাই তাকে কোন কাজ করতে দেন না তাই না ? বলেই দেন যে তোমার বয়স কম পারবে না তাই না ? যেমন ধরুন সে তার ঘর গোচাতে চায়। নিশ্চয় ঘর গোছানোর মতো কাজ করতে দেন না। এটা আপনী ক্ষতিই করছেন। এতে করে তার মধ্যে অনেক ভাল একটি গড়ে অভ্যাসকে আপনী ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এতে তাদের মধ্যে গোছানোর অভ্যাস কখনো তৈরি হয় না। অল্প বয়স থেকেই যদি শিশু নিজের ঘর পরিষ্কার রাখতে শেখে তবে তার দায়িত্ববোধ, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এ বিষয়ে বেশ কেিয়কটি পরামর্শ আছে।
//শিশুদের জোর করে কিছু করানো একেবারে অনুচিত। সে ঘর এলোমেলো করে রাখছে। আবার হতে পারে সে ঘর গোছাতে চায়। ঘর গোছানো নিয়ে তাকে জোর করা যাবে না। পড়াশোনা, খেলাধুলা শেষে শিশুকে বলুন সে যদি তার নিজের জিনিসগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় গুছিয়ে রাখে তবে পরবর্তী সময়ে সময়ে সহজেই সে খুঁজে পাবে। এতে শিশুর ঘর গুছিয়ে রাখায় আগ্রহ বাড়বে।
//শিশু যদি তার পছন্দমতো জায়গায় জিনিস রাখতে চায়, রাখুক। জোর করে তা বদলাতে বাধ্য করবেন না। তাদের ব্যক্তিত্ব, মতামত আলাদা। সেই মতামতকে গুরুত্ব দিতে শিখুন। শিশু নিজের কাজের গুরুত্ব বুঝতে শিখবে।
//শুরুতে শিশু ঘর যেভাবেই গোছাক না কেন, ভুল ধরবেন না। এতে শিশু কাজে আগ্রহ হারাতে পারে। তার চেষ্টার প্রশংসা করুন।
//অন্যের সামনে কখনো বাচ্চার সমালোচনা করবেন না। এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
//সন্তানের ঘর গোছানোর সময় সঙ্গে একজন অভিভাবক থাকতে পারেন। তবে গোছানোর সময় নিজে মতামত না দিয়ে সে যেভাবে চায়, সেভাবে তাকে কাজে সাহায্য করুন।
// পরিবারের সব সদস্যকে সমানভাবে কাজ ভাগ করে নিতে হবে। এতে শিশু নিজেই বুঝবে তার কাজের দায়িত্ব সম্পর্কে।
// শিশুরা খেলতে ভালোবাসে। খেলার ছলেও তাদের মধ্যে ঘর গোছানোর অভ্যাস তৈরি করা যায়।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি