দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
করেনা আতঙ্ক এখন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। শিশুরা এর থেকে দুরে নয় যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। বাড়ির খুদে সদস্যদের তাই অবহেলা করার সুযোগ নেই।
একটি জিনিস নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন শিশুরা এইমুহুর্তে তো ঘরের বার হচ্ছে না। মানে আর্থ কানেকশন’ প্রায় হচ্ছেই না। তাই বাড়তি যতœ সময়ের দাবি। একটু দেখভাল করলেই এটা সহজ হতে পারে। জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসের সামান্য রদবদলেই কিন্তু শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান যায়। আসুন দেখি।
ঘুম//
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সবার উপরে থাকছে পর্যাপ্ত সময় ঘুম। ঘুম কম হলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। যা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। শিশুদের অন্তত ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এর জন্য শিশুরা যাতে কম্পিউটার গেম না খেলে বা দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন নিয়ে খেলা না করে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। এই ডিভাইসগুলোও শিশুদের ঘুম কমিয়ে আনে।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক/
অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই শিশুকে যতটা সম্ভব অ্যান্টিবায়োটিক কম খাওয়ান।
ফুড ডেলিভারিকে না বলুন//
বাড়িরেত বানানো খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করান শিশুকে। জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ তাজা সব্জি ও ফল খাওয়ান। এই লকডাউনে ফুড ডেলিভারি খোলা। শিশুর বায়না মেটাতে সেখান থেকে খাবার অর্ডার এই মুহূর্তে না করাই ভাল। ঘন ঘন জাঙ্ক ফুড শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। দরকারে বাড়িতেই বানিয়ে দিন মুখরোচক এই সব খাবার।
নিয়মমাফিক খাদ্যাভ্যাস/
শিশুদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অভিভাবককে বাচ্চার আজেবাজে খাদ্যাভাস বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন খাবার তালিকায় ফল এবং শাক সবজি রাখুন। ছোটবেলা থেকেই ভালো খাদ্যাভ্যাসে গড়ে নিতে পারলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
খাবারে চিনি নিয়ন্ত্রণ//
বেশি চিনি যুক্ত খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই বেশি মাত্রার চিনি যুক্ত খাবার কমালে সুস্থ থাকবে আপনার শিশু।
ওজন নিয়ন্ত্রণ//
শিশুদের জন্য বাড়তি ওজন অনেক ক্ষতিকর। বাচ্চাদের ওজন তার বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য বাচ্চাদের উপযোগী কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যেমন- সাঁতার শেখানো, খেলাধুলা করা ইত্যাদি।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর জোর//
বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং গোসল করার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলুন। খাবারের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া, খেলাধুলার পর হাত মুখ ধোঁয়া, এইসব ছোট ছোট অভ্যাস দেহের রোগ সংক্রামণে বাঁধা দেবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
হালকা শরীর চর্চা//
নিয়মিত ব্যায়াম রক্তের শ্বেত কনিকার সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই শিশুদের বয়স অনুযায়ী হালকা শরীর চর্চার ব্যবস্থা রাখুন। এতে শরীর ফিট থাকবে। সহজে রোগ জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি