দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে চারজন অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তির নামে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল) চাল উত্তোলন হলেও ভুক্তভোগীদের কেউই পাননি তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল।
এমন একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুক্রবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনাটি উপজেলার যদুবয়বা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে ঘটেছে। আর চাল আত্মসাৎ এর এমন অভিযোগ উঠেছে চালের ডিলার ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আকাশ রেজার বিরুদ্ধে।
তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম, ইউনিয়ন সচিব হাফিজুর রহমান ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমানের যোগসাজশে এমন অনিয়ম হতে পারে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- মানিক সেখ (কার্ড নং-১২০),মন্টু হোসেন (কার্ড নং ১৩৭),সহিদুল ইসলাম(কার্ড নং ১৮১) ও রুস্তম আলী (কার্ড নং ১৮৮)
এবিষয়ে গত ৫ মে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৬ সালে তারা খাদ্য বান্ধব (১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল) কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হন। কার্ড করে দেয়ার কথা বলে প্রায় ৩ বছর আগে আইডি কার্ড নিয়েছিল ইউপি সদস্য মতিয়ার। কিন্তু সে চাল তারা পাননি। অথচ নথি বরছে তাদের নামে চাল উত্তোলন অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে ২ নং ওয়ার্ড মেম্বর মতিয়ার জানান চেয়ারম্যানের নির্দেশে কার্ড গুলো যাচাইবাছাই করার জন্য সচিবের কাছে দেন তিনি। কিন্তু পরে ডিলার, চেয়ারম্যান আর সচিব মিলে কি করেছে তা তিনি জানেন না।
পরিষদের সচিব ও চাল বিতরণের ট্যাগ অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান,সব কার্ড গুলো ২ নং ওয়ার্ড মেম্বর মতিয়ার কে বুঝে দেওয়া হয়েছিল। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে মেম্বরই করেছে।
যদুবয়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম জানান, অনেক গুলো কার্ড রয়েছে। খতিয়ে দেখতে হবে কে পায়নি আর কে পেয়েছে।
এবিষয়ে চালের ডিলার ও জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আকাশ রেজা বলেন তিনি সব সময় ট্যাগ অফিসার হাফিজের মাধ্যমে চাল দিয়ে থাকেন।ফুড অফিসারের সাথে নিয়মিত কথা হয়।যারা চাল পায়নি তারা হয়তো কার্ড হারিয়ে ফেলেছে অথবা তাদের আত্মীয় স্বজন চাল নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান যা বেঁচে থাকে খাদ্য গুদামে ফেরত দেন। বিগত তিন বছরের চাল বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান আকাশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান, ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি