December 22, 2024, 12:17 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//
কুষ্টিয়ায় করোনা চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থেকে বাড়ি ফিরলেন সেই তছিকুল ইসলাম ও শিল্পী বেগম দম্পতি ও তাদের চার বছরের সন্তান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান তারা সুস্থ। সুস্থ হবার পর তাদেরকে দু’বার পরীক্ষা করা হয়েছে। শরীরে করোনা ভাইরাস নেই নিশ্চিত হয়ে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ীতে পাঠানো হলো। তাদের চার বছরের সন্তানটিও সুস্থ। তিনি জানান শিল্পী অন্তসত্ত্বা। সেও সুস্থ।
এই দম্পতি চাকুরী সুত্রে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে একটি ভাড়া বাসায় তারা থাকতেন। ২২ এপ্রিল তছিকুলের শরীরে এবং ২৩ এপ্রিল তার স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়লে তাদেরকে যে কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়। কিš‘ তারা তা না করে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া চলে আসেন। রাজবাড়ীতে তারা এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নেন। এখান থেকেই তাদের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা কুষ্টিয়ার দিকে রওনা দেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের রতন ক্লিনিকের সামনে থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোবাইক থেকে এই দম্পতিকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী পুলিশ।
বিষয়টি ঐ আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের নিকট থেকে জানার পর কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আকম সরওয়ার জাহান বাদশা কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোনেকে অবহিত করেন।
পরে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে তাদেরকে কুষ্টিয়ায় আনা হয়। রাখা হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে।
এই দম্পতি জানান তারা দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন যদি মরতেই হয় তাহলে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে মরতে চান। এই রকম চিন্তা থেকেই তারা রওনা হন ঢাকা থেকে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদেরকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসে।
রিলিজ পাওয়ার পর তছিকুল জানান তারা ধরেই নিয়েছিলেন তারা আর বাঁচবেন না। তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তার ছোট্র সন্তানটির জন্য। তখন সিদ্ধান্ত নেন যেভাবেই হোক কুষ্টিয়া ফিরবেন।
“এখন ভাল লাগছে। এটা বেঁচে থাকার ভালো লাগা,” তিনি জানান।
এদিকে কুষ্টিয়াতে এই দুজন রিলিজ পাওয়ার পর সেখানে আইসোলেশনে আর কোন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন না।
এর আগে ১ মে কুমারখালী উপজেলার গট্টিয়া গ্রামের আক্কাছ আলি ও একই উপজেলার চর মহেন্দ্রপুর গ্রামের সামাদ বিশ^াসকে চিকিৎসা শেষে রিলিজ দেয়া হয়। আক্কাছ আলি ২২ এপ্রিল ও সামাদ ২৩ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হন। পরপরই তাদেরকে আইসোলেশনে আনা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন ফোনে আলাপকালে কুষ্টিয়ায় করোনা প্রতিরোধের এ সুফলকে সবার বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি বলেন বিপদ মোটেই কেটে যায়নি। এ রোগটি চরম আনপ্রেডিক্টেবল। তাই ািনয়ম মেনেই সবাইকে চলতে হবে।
Leave a Reply