দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের মালিথা পাড়া এলাকা থেকে এক সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর গাছে ঝুলন্ত লাশ ও সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের গজনরীপুর গ্রাম থেকে এক মহিষ ব্যবসায়ীর বাঁশে ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের নিকট হত্যা না আত্মহত্যা জিজ্ঞেস করলে তদন্ত ছাড়া কিছুই বলতে পারছেন না বলে জানান। মেয়েটির নাম জয়া খাতুন। যে স্থানীয় একটি হাইস্কুলে লেখাপড়া করত।
মেয়েটির পারিবারিক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার জসিম মালিথার ছেলে লিমন মালিথার সাথে মেয়েটির সর্ম্পক ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবারই জানতো। মেয়েটির পিতা জিয়ারুল ওরফে জিয়া জানায় তার মেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সহ একটি ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যায়। এটা তারা জানতে পারে তখন রাত ১ টা। এসময় তারা লিমনের বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে লিমনকে বাড়িতে দেখতে পান। তার মেয়ে কোথায় জিজ্ঞেস করলে লিমন জানেনা বলে জানায়।
পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করেও তারা জয়াকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। ভোড় রাতে তার বাড়ির পিছনে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
জিয়া দাবী করেন লিমন তার মেয়েকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। পাশেই জয়ার ব্যবহৃত পোষাকের ব্যাগটি পাওয়া যায়।
অপরদিকে ছেলের বাবা জসিম মালিথা জানায় জয়ার সাথে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৭/৮ মাস পূর্বে জানতে পেরে সে মেয়ের বাবা জসিমের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দেয়। জয়া সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বর্তমানে লেখাপড়া বাদ দিয়েছে। কিন্তু তার বয়স (১৬) বছর হওয়ায় কিছুদিন অপেক্ষা করে তার ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেবার কথা বললে এতেও জিয়া বিয়ে দিতে অসম্মতি জানায়।
জসিম জানায় ভোর রাতে মেয়ের বাবা সহ কয়েকজন তার বাড়িতে যায় ও তার মেয়ের না পাওয়ার বিষয়টি তাকে জানায়। সে সময় লিমন তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো।
জসিম জানায় বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ার তার মেয়ে আতœহত্যা করে থাকতে পারে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান লাশের ময়নাতদন্ত হচ্ছে।
অপরদিকে, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গজনবীপুর গ্রামের মৃত যাত্রা মন্ডলের ছেলে মহিষ ব্যবসায়ী শামিম, ৩৬’র মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ।
থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আরিফ জানান, গজনবী পুর গ্রামে বাজারে একটি লাশ ঝুলছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট আসার পরে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি