সুত্র, বিবিসি//
আফ্রিকার দেশ সুদানে নারীর খৎনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই অপরাধে ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
সুদানে নারীদের খৎনার বহুল প্রচলন রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, দেশটির ১৪ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের খৎনার শিকার হয়েছেন।
নারীর খৎনা বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিল্যাশন (এফজিএম)-এর ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ, জরায়ু সংক্রমণ, কিডনি সংক্রমণ, সিস্ট, প্রজনন সমস্যা তৈরি হয়।
সাংস্কৃতিক বিশ্বাস থেকে মেয়েদের সম্মান ও বিয়ের জন্য খৎনা আবশ্যক বলে বিবেচনা করা হয়।
এর আগেও সুদানে দেশব্যাপী এই রীতিকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পার্লামেন্টে আটকে যায়। অবশেষে ২২ এপ্রিল আইন সংশোধনের মাধ্যমে নারীর খৎনাকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। আইন অনুসারে, যে কেউ চিকিৎসাকেন্দ্র বা অন্য কোথাও নারীর খৎনা করলে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা গুনতে হবে।
গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীদের খৎনা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ২৯টি দেশে এখনও নারী খৎনার প্রচলন রয়েছে। যদিও এসব দেশের অন্তত ২৪টিতে নারী খৎনাবিরোধী আইন বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুদানের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নারী খৎনা বেআইনি হলেও তা খুব মেনে চলা হয় না।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি