December 22, 2024, 8:11 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//*/
সীমিত পরিসরে চলমান পরিস্থিতিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চালু করতে দুই দেশ একমত হয়েছে। প্রায় মাসধিককাল বন্ধ হয়ে আছে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দরটি। গত ৩০ এপ্রিল বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় (নোম্যান্স ল্যান্ডে) এ লক্ষ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে চলমান অবস্থায় বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট শূন্যরেখায় স্বল্প পরিসরে ট্রাক থেকে জরুরি পণ্যগুলো খালাস করা যেতে পারে বলে ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাগণ একমত পোষণ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন সব পণ্য বেনাপোল বন্দরে পাঠানো হবে।
এখন ভারতীয় ট্রাক নোম্যানসল্যান্ড পর্যন্ত আসবে। বাংলাদেশি ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা সেখান থেকে মালামাল লোড-আনলোড করে নেবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতিপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য দিয়ে রফতানি শুরু হবে। পরে অন্যান্য পণ্য রফতানি হবে। পরিস্থিতি ভালো হলে আগের মতো কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আবদুল ওয়াহাব বলেন, নোম্যানসল্যান্ড ব্যবহার করতে হলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আমরা কথা বলার পর আপনারা কাজ করতে পারবেন।
বৈঠকে বেনাপোল বন্দরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দীন শিমুল ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে ছিলেন পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত যদি পণ্য রফতানি করে; সেই পণ্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যদি নোম্যানসল্যান্ড থেকে গ্রহণ করে তা হলে বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস স্বল্প পরিসরে খোলা থাকলেও ভারতে পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম টানা এক মাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়ায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে পাঁচ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে অধিকাংশ রয়েছে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল, কেমিক্যালসামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্য।
Leave a Reply