দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন ডেস্ক//*/
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মাধাইনগর দক্ষিণ জোড়পুকুর এলাকায় হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি শ্মশান ও খ্রিস্টান কবরস্থানের মাঝের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করেসংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে আহত পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, এক সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত মাধাইনগর এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাস ছিল। প্রায় এক দশক আগে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। এ কারণে এ গ্রামের শ্মশানটি তারা মাঝখান দিয়ে বেড়া দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত করে হিন্দুরা শ্মশান আর খ্রিস্টানরা কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। সকালে হিন্দুরা ওই বেড়া সরিয়ে শ্মশানের পুরো অংশজুড়ে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে খ্রিস্টানরা তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা ধীরেন্দ্রনাথ মাস্টার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ডা. সুশীল ও হিতেন্দ্রনাথ টপ্যর নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন হিন্দু শ্মশান ও কবরস্থানের মাঝের সীমানার বেড়া জোরপূর্বক তুলে পুরো জায়গা তাদের দখলে নিয়ে পাকা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে আমাদের পক্ষের সুমন সাউড় (২১), সুনীল এক্কা (৪০), সুরবালা আইন্দ (৭০), শান্তি সাউড় (৬০), এলেমদা তির্কিসহ (৫০) সাতজন আহত হন।
এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা পরিতোষ টপ্য বলেন, শ্মশানের নামের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি খ্রিস্টানরা জোর করে দখল করে নিয়ে অবৈধভাবে কবরস্থান বানিয়ে ব্যবহার করে আসছিল। আমরা শ্মশানের জায়গা ঘিরে প্রাচীর দিচ্ছি।
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি