December 30, 2024, 11:45 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//*/
কুষ্টিয়ায় নতুন করে একজন নারী চিকিৎসকসহ আরও ৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় মোট ১০ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হলো। নতুন আক্রান্তরা সবাই জেলার মিরপুর ও দেলৈতপুর উপজেলার।
রোববার (২৬ এপ্রিল) নতুন ৬ জনের মধ্যে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। আক্রান্ত ওই নারী চিকিৎসকের বয়স ২৮বছর। তিনি ৩৯ বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের সদস্য। এর আগে ভেড়ামারা উপজেলার হেলথ কমপ্লেক্রের চিকিৎসক রাকিব ইমরান আক্রান্ত হন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান আক্রান্তরা যথানিয়মে চিকিৎসার আওতায় এসেছেন। ঐ চিকিৎসক আক্রান্তের ঘটনায় শহরের মজমপুরের ৪৫ ফ্লাটের একটি বিল্ডিং লকডাউন করা হয়েছে। ঐবিল্ডিং’র একজন বাসিন্দা জানান আক্রান্ত নারী চিকিৎসকের পিতাও একজন চিকিৎসক। তিনি গত ডিসেম্বরে যোগদান করেন। তবে জানা গেছে তার কোন জ্বর,কাশি ও গলাব্যথা বা শরীরে ব্যাথা ছিল না। পুনরায় টেস্ট হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
আক্রান্ত অন্য ৫ ব্যক্তি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার। মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার হাবিবের হাসপাতালের বাসা লকডাউন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় বর্তমানে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুলিশ পাহারা দিয়ে রেখেছে। <নৎ>
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা হট লাইনে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ নজমুল মুনীর জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মিত পিসিআর ল্যাবে সংগৃহিত ২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়া গতকাল মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪ জন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় একজন নারী চিকিৎসকের পজেটিভ আসে। যিনি ২৬ এপ্রিলও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ছিলেন।দৌলতপুর উপজেলাতেও তিনজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়। এদের বাড়ি উপজেলার লাউবাড়িয়া, তেকালা এবং ফিলিপনগরে। জানাগেছে,গত ২৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়া শহরে একজন ব্যাংকার, কুমারখালীতে ষাটর্দ্ধ বৃদ্ধ ও খোকসায় একজন পুলিশ সদস্য করোনা সনাক্ত হয়।
পরের দিন নতুন করে ভেড়ামারায় একজন চিকিৎসকসহ কুষ্টিয়া জেলায় মোট ১০ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে তাকে শনিবার রাতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তার আগে চিকিৎসককে ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। বাকিরা প্রাতিষ্ঠানিক হোমকোয়ারেন্টিনে ও হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া জেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিদ্দিরগঞ্জ, গাজীরপুর থেকে আগত ৩ হাজার ৫৩ জন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply