দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন
ডেস্ক//
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে স্ট্যাটাস
দেওয়ায় নোয়াখালী
জেনারেল হাসপাতালের
এ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. আবু
তাহেরকে শো-কজ করেছে
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডাক্তার তাহের
দেশব্যাপী চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ
স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম রয়েছে বলে
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাস্থ্য সচিব যে দাবি করেন
তার সমালোচনা
করেন। তিনি
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা
২৪মিনিটে ফেসবুকে
স্ট্যাটাস দেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল)
লিখিত চিঠির
মাধ্যমে তার
কাছে এ
কৈফিয়ত তলব
করা হয়।
তিনি লেখেন, ‘আমি
নোয়াাখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে
কর্মরত একজন
এ্যানেসথেসিওলজিস্ট। রোগীর সবচেয়ে
কাছ থেকে
আমি চিকিৎসা
দেই। গত
১ মাসে
প্রতিদিন হাসপাতালে
গিয়েছি। এখন
পর্যন্ত আমিসহ
আমার ডিপার্টমেন্টের
কেউ ১টিও
এন৯৫/কেএন৯৫/এফএফপি-২
মাস্ক পাইনি।
তাহলে স্বাস্থ্য
সচিব কেন
মিথ্যাচার করলেন যে, উনি এন৯৫
ইকোয়েভেলেন্ট মাস্ক দিচ্ছেন? তাও মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর কাছে উনি মিথ্যা বলছেন?
এই মিথ্যাচারের
শাস্তি কী
হবে?
গত ১ মাসে
আমার ডিপার্টমেন্টের
৮ জনের
জন্য ২টি
পিপিই দেওয়া
হয়েছে। এই
হলো পর্যাপ্ত
পিপিই মজুদ।
ওহ কি
বলবেন, আমরা
কাজ করি
না? গত
১ মাসে
১৫০টির মতো
অপারেশন আমি
একাই করেছি।
বাকিদের হিসাব
দিলাম না।
আপনাদের ওসব
পিপিই, মাস্ক
না পেয়েও
আমরা বসে
নাই, বসে
থাকবোও না।
কিন্তু জাতির
সামনে মিথ্যাচার
কেন করবেন?
আমি নিজের বেতনের
টাকায় কেনা
সার্জিক্যাল মাস্ক পরে প্রতিদিন অপারেশন
করি। পিপিইটাও
নিজের টাকায়
কেনা আছে।
কিন্তু, অন্যরা
পিপিই না
পরলে একা
পরে কী
হবে, তাই
পরি না।
গত ৩
মাসে কী
প্রস্তুতি নিয়েছেন? অথচ এখন বলেন
এগুলো পাওয়া
যাচ্ছে না।
আমাদের অনেকে আজ
আপনাদের এসব
মিথ্যাচারের কারণে আক্রান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
কাছে এরকম
অনেক মিথ্যা
প্রস্তুতির নাটক সাজিয়ে হাজার কোটি
টাকা লোপাট
করছে কিছু
লুটেরার দল।’
৩ দিনের মধ্যে
শো-কজের
জবাব দিতে
বলা হয়েছে।
চিঠিতে হাসপাতালে পিপিইসহ
যাবতীয় সুরক্ষা
সামগ্রী পর্যাপ্ত
পরিমাণে থাকা
ও সরবরাহ
করার পরও
এ ধরনের
মন্তব্য সরকারি
কর্মচারী আচরণ
বিধিমালার পরিপন্থি বলে উল্লেখ করা
হয়।
এ বিষয়ে জানতে
একাধিকবার ফোন করেও ডা. মো.
ফরিদ উদ্দিন
চৌধুরীকে পাওয়া
যায়নি।
এদিকে এ শো-কজ প্রসঙ্গে
জানতে চাইলে
ডা. আবু
তাহের জানান,
তিনি যা
বলেছেন তা
শতভাগ সত্য।
যদি কোনো
কিছু মিথ্যা
প্রমাণ হয়,
তাহলে তিনি
যে কোনো
ধরনের শাস্তি
মাথা পেতে
নিতে প্রস্তুত
আছেন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি