নিজস্ব সংবাদদাতা: কুষ্টিয়া স্বাস্থ্য বিভাগ গত বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত ঘোষিত নৌবাহিনীর এক সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করেছে আজ শুক্রবার ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাজমুস সালেহীন নামের ঐ নৌবাহিনীর সদস্যের মৃত্যু হয় রাত ৯ টার দিকে হাসপাতালে আনার আগে। সালিহিন খুলনা নৌ বাহিনীর রিজিওনাল দফতরে সার্জেন্টের পদে চাকুরী করতেন। গত তিন দিন ধরে তিনি ছুটিতে ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
সালেহিন একটি মিশনে দু'বছর আগে দক্ষিণ সুদান গিয়েছিলেন এবং ৯ মাস আগে দেশে ফিরেছিলেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান যে সালেহিন গ্যাস্ট্রিক এবং হার্টের রোগে ভুগছিলেন এবং মেহেনপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে তিন দিন ধরে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল।
সিভিল সার্জন জানান “হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই পথে তার মৃত্যু হয়েছিল।”
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) তাপস কুমার সরকার সালেহিনের চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে তিনি অতীতে গ্যাস্ট্রিক-আলসার এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন।
হাসপাতালে আনার আগে যেহেতু রোগী মারা যান, আমরা সরাসরি রোগীর অন্য কোন লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারি নি,” বলেন ডাক্তার তাপস।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, “তবে, সালেহীনের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে তার মধ্যে করোনার লক্ষণ ছিল। এবং সেজন্য পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।" একই সাথে বাড়তি সর্তকতার জন্য তার লাশ করোনা প্রতিরোধক কফিনে ভরে পরিবারের কাছে দেয়া হযেছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে খুলনা থেকে নৌবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসন শুক্রবার সকাল থেকে সালেহীনের শ্বশুর বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি