দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন: নানা ফসলের দেশ বাংলাদেশ। বারো মাসে ১৮ ফসলের গল্প তো প্রাচীন। নানা ফসলের এই উৎপাদনে ইতেমধ্যে দেশ নানামুখী অগ্রগতি লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ডানায় আরেকটি নতুন পালক যুক্ত হযেছে এটি হলো প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর তালিকায় বিশ্বে শীর্ষ¯’ানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ফসলগুলোর তালিকায় রয়েছে আউশ, আমন, বোরো, আলু, গম ও পাট।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ হিসেব দেখিয়েছে। এছাড়া আরো ১২০টি অপ্রধান ফসলের হিসাবও করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচে বেশী অগ্রগতি সাধিত হয়েছে চাল উৎপাদনে। দেশে শিল্প-অগ্রগতি যাই ঘটুক, মানুষের পেশায় নান পরির্বন যাই আসুক এ দেশ এখনও কৃষি প্রধান দেশ। বর্তমানে কৃষিতে নিয়োজিত জনশক্তির সংখ্যা ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তবুও কৃষিতে শ্রমশক্তির সংখ্যা কমেনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ৪৬ দশমিক ৬১ শতাংশ খানা (পরিবার) কৃষি নির্ভর। এ থেকে বোঝা যায় কৃষি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে।
দেশে সবকিছু ছাপিয়ে চাল উৎপাদনে বিশাল সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে চাল উৎপাদনের পরিমাণ ৩৬৪ লাখ মেট্রিক টন। বিবিএস সূত্র জানায়, স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকলে বর্তমানে দেশ খাদে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
১৯৬৯-৭০ অর্থবছরে চাল উৎপাদন ছিল মাত্র ১১৮ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন, বর্তমানে (২০১৮-১৯) বেড়ে হয়েছে ৩৬৪ লাখ মেট্রিক টন। চার বছর আগে চাল উৎপাদন হয়েছিল ৩৪৭ মেট্রিক টন। দেশে ১১ দশমিক ০৫ লাখ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৭৫ লাখ মেট্রিক টন আউশ, ১৪০ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন আমন এবং ১৯৫ দশমিক ৬১ লাখ মেট্রিক টন বোরো উৎপাদন করা হয়েছে। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা, কৃষকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বৈজ্ঞানিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলেই কৃষিতে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি