নিজস্ব প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কৃষির উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত বাস্তবধর্মী বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে বিগত প্রায় এগারো বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এরমধ্যে দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে।
আগামীকাল ‘জাতীয় মৌ মেলা ২০২০’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় মৌ মেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এবারের মৌ মেলার প্রতিপাদ্য ‘পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৌচাষ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতা সূচিত কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। কৃষির এ অগ্রযাত্রায় দেশে উৎপাদিত মধু বিশ্ববাজারে স্থান করে নিতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মধু অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। মধুতে প্রায় ১৮১ ধরনের রাসায়নিক উপাদানসহ বিভিন্ন এনজাইম ও ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পুষ্টির যোগান দেয়।
আবদুল হামিদ বলেন, ফসলের মাঠে মৌচাষের মাধ্যমে উৎপাদিত মধু ও মোম বিক্রি করে পারিবারিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধিসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব।
এ ছাড়াও মৌমাছি মধু সংগ্রহের সময় ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ঘটায়। এতে ফসলের ফলন শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে বিভিন্ন ফল ও তেলজাতীয় ফসলের ফলন বাড়াতে মৌচাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মৌচাষের মাধ্যমে এ ধরনের ফসলের ঘাটতি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পরিকল্পিতভাবে মৌচাষ করে মধু আহরণের মাধ্যমে দেশে মধুর চাহিদা পূরণ করে প্রতিবছর বিদেশে মধু রপ্তানি করে শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন পরিকল্পিতভাবে মৌমাছি চাষ ও মৌচাষিদের মৌচাষে উদ্বুদ্ধ করা। এ ক্ষেত্রে জাতীয় মৌ মেলা মৌচাষিদের উৎসাহ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। বাণিতে তিনি ‘জাতীয় মৌ মেলা ২০২০’ এর সাফল্য কামনা করেছেন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি